লিওনেল মেসির দুর্দান্ত গোলের পর টাইব্রেকার নাটকীয়তায় নাশভিলকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতল ইন্টার মায়ামি।
লিগস কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে নাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। টুর্নামেন্টে কোনো অতিরিক্ত সময় না থাকায় ৯০ মিনিট পরই ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও প্রথম গোলটি করে পথ দেখান মেসি। শেষ পর্যন্ত ১০-৯ ব্যবধানে জিতে নিজেদের প্রথম শিরোপা উল্লাসে মাতে মায়ামি সমর্থকরা।
মাস খানেক আগেও যে দলটি ছিল আনকোরা, লিগে যাদের অবস্থান ছিল পয়েন্ট টেবিলের একেবারেই তলানীতে, সেই দলকেই শিরোপা অমোচনীয় স্বাদ পাইয়ে দিলেন বিশ্বের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
জিওডিস পার্ক স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার। ফাইনালের সব টিকিট কয়েক মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। একটা টিকিটের আশায় বহু মানুষ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানে ফোন করেও লাভ হয়নি। মায়ামি থেকে আসা অনেকে নাশভিল সমর্থকদের কাছ থেকে চড়া দামে টিকিট কিনে খেলা দেখেছেন।
টাইব্রেকারের প্রথম পাঁচটি শট থেকে উভয় দল ৪টি করে গোল করেন। কিন্তু সমতা বিরাজ করায় পেনাল্টি জারি থাকে। সেখানেও প্রতিটি শটেই গোল পায় উভয়পক্ষ। তখন ফল নির্ধারণের দায়িত্ব পড়ে দুই দলের গোলরক্ষকদের ওপর। মায়ামি গোলরক্ষক গোল পেলেও, ন্যাশভিলের শট ঠেকিয়ে দেন মেসিদের কিপার। এতে করে প্রথমবারের মতো কোনো শিরোপা ঘরে তোলে মায়ামি।
এই ম্যাচে মায়ামি ৫৯ শতাংশ এবং ন্যাশভিল বল দখলে রেখেছিল ৪১ শতাংশ। প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর মায়ামি শট করেছে ২টি ও আর ন্যাশভিল করেছে ৬টি শট।
লিগস কাপের ফাইনালে গোল করার মধ্য দিয়ে টানা ৭ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন মেসি। এমন কীর্তি টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এই প্রথম। মায়ামির হয়ে ৭ ম্যাচ থেকে ১০ গোল আদায় করেন মেসি।